Description
"গোপা এল আরও কিছুক্ষণ পরে। মশারি টাঙিয়ে নিজের বালিশটাকে খাটের প্রান্ত সীমায় সরিয়ে মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পড়তে যাচ্ছিল ও, সমীরণ ওর নাইটির হাতা ধরে টানল।
- ছাড়ো, ভালো লাগছে না।
এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে নিল গোপা।
কনুইয়ে ভর দিয়ে উঠে বসল সমীরণ।
- কী ছেলেমানুষি করছ গোপা! নিজের বিশ্বাস, বোধ, আকাঙ্ক্ষা থেকে বাবা যা করেছে, তার সঙ্গে আমাদের...
ফোঁস করে উঠল গোপা। ঘুরে বসল ওর মুখোমুখি। ব্যঙ্গে বিকৃত হল ওর কণ্ঠস্বর,
- বাবা! কে তোমার বাবা? বেজন্মা কোথাকার!
সন্ধের তরল বোধহয় এইবার তার সম্পূর্ণ প্রভাব বিস্তার করল।
- কী বললে? কী বললি তুই?
গোপার দু' কাঁধ ধরে ঝাঁকানি দিতে দিতে চিৎকার করে উঠল মাতাল সমীরণ।
হয়তো এভাবে বলতে চায়নি গোপা। নিজের দ্বিধা আর সংস্কার ঠেলে ফেলতে না পেরেই হয়তো এত আক্রমণাত্মক হয়েছিল কিন্তু এখন আর ফেরা যায় না। হাত তুলে ও ধাক্কা দিল সমীরণকে। বলল,
- ঠিক বলেছি, ঠিকই তো বলেছি, মাতাল বেজন্মা কোথাকার!
গোপার হাতের ধাক্কায় সমীরণের রগের কাছটা জ্বালা করে উঠল। বাঁহাতের বালাটা ঘষে গেছে ওখানে। জায়গাটায় হাত দিল ও। রক্ত, চটচটে লাল রক্ত। গোপাও, একটু থতমত খেয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তার আগেই ঝাঁপিয়ে পড়ল সমীরণ। ছিঁড়ে গেল দড়ির ফাঁস, কাপড়ের আবরণ। নারীর প্রতিরোধ হার মানল পুরুষের শক্তি আর বিরংসার কাছে। মদমত্ত এক পুরুষ তার সমাজ স্বীকৃত নিজস্ব নারীকে ধর্ষণে প্রবৃত্ত হল।
ক্রমশ প্রতিরোধ শিথিল হল। এক সময় পুরুষ টের পেল, কোনও বাধা নয়, সক্রিয় সহযোগিতাই যেন তাকে শিখরে পৌঁছাতে সাহায্য করছে।"