রাত ৯.৪৮
মুম্বাইয়ের পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুমে প্রথম ফোন। গুলি চলেছে লিওপোল্ড কাফেতে। নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিদেশি পর্যটক।
রাত ৯.৫৪
এবার তাজ হোটেল।
রাত ৯.৫৮
ট্রাইড্যান্ট ওবেরয়। ততক্ষণে পাগলাঘণ্টি হয়ে বাজতে শুরু করেছে কন্ট্রোলরুমের ফোন।
রাত ৯.৫৯
সি এস টি স্টেশনে ফায়ারিং করেছে আততায়ীর দল।
রাত ১০.০২
আক্রান্ত হল চাবাড হাউস। মুম্বাই জ্বলছে !
হ্যাঁ, সেদিন রাত থেকে শুরু করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লড়াই চলেছিল সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে। নিহত হয়েছিলেন অজস্র মানুষ।
যা কিছু শ্রেষ্ঠ, তা-ই নিষ্কবচ। সহজে আক্রান্ত হয় তা-ই। এই সূত্র মেনেই ভারতের বুকে আঁচড় নেমে এসেছে বারে বারে। সেই বুক রক্ষা করতে যুগে যুগে পিঠ পেতে দিয়েছেন ভারতমাতার বীর সন্তানেরা। নৃশংসতার উত্তর ভারত প্রতিশোধের ভাষায় দেয়নি, দিয়েছে সংহতির ভাষ্যে।
ফিনিক্স পাখি হয়ে ওড়ার আগে জ্বলে ছাই হতে হয়েছে মুম্বাইনগরীকে। নিহতদের বলিবেদীতে দাঁড়িয়েছে মায়াশহর। ভারতকে খানখান করতে চাওয়া শক্তিকে সম্মুখ সমরে পরাস্ত করেছে ভারতীয়দের শুভবুদ্ধি। সেই কোন সুদূর অতীত থেকে গজনীর মামুদ, ইরানের নাদিরশাহের মতো বর্বরের দল আক্রমণ হেনে এসেছে ভারতের বুকে। পাকিস্তানের আজমল কাসভও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু এরা কেউ ভারতকে হারাতে পারেনি। এদের তৈরী মৃত্যু উপত্যকাকে ফুলে ফুলে ঢেকে কোমল করে তুলেছে এই রাষ্ট্রের বাসিন্দারা।
সেই কথাই এবার বাংলাভাষায়। সেখানে কখনও উঠে আসবে নিহত এন এস জি কম্যান্ডো মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণনের বাবা - মায়ের জবানবন্দি, আবার কখনও বা নিহত তুকারাম ওম্বলের বীরগাথা।
অজস্র হতাহত। তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল আসমুদ্রহিমাচল। কিন্তু সময় সব ক্ষতকেই ভুলিয়ে দেয়। ফেড হতে থাকে নিউজপ্রিন্ট। বিস্মৃতির আড়ালে চলে যেতে থাকা পরিবারগুলোকে ভুলে যায় আমজনতা থেকে রাজনেতা সকলেই। কিন্তু ২৬/১১ যে অনেকের জীবন বদলে দিয়েছে। ভালো গতিপথকে খারাপ করে দিয়েছে, খারাপকে করেছে আরও খারাপ। সেই গল্পগুলো কেউ বলেনি। বলে না। শুধু ২৬/১১-এর সেই কালো রাত নয়, বলা হয়েছে ওই হামলায় ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবারের কথাও৷ আসুন, তাঁদের কথা শুনি, যারা হার মানেননি।
'২৬/১১: স্টোরিজ অব স্ট্রেংথ' বইটির বঙ্গানুবাদ '২৬/১১ এবং অপরাজিতদের কথা' নামে প্রকাশিত। বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন শতাব্দীর মহানায়ক অমিতাভ বচ্চন স্বয়ং। ফেসবুক, ইণ্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও পেঙ্গুইনের যৌথ উদ্যোগের এই বই সাড়া ফেলে দিয়েছিল পাঠকমহলে।
The Cafe Table is self-describing in itself. It’s just cafe with a table, where a table is all you need to share your thoughts and shape them into real good books. We are a budding organization based out of Kolkata, seeking to broaden our horizon beyond printing. Though we claim to be a startup publishing house, our line of business has much more than just printing in its palette.